সাভারের আশুলিয়ায় ফয়সাল কবির হত্যার ঘটনায় ৪ হেলমেট বাহিনীর সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। গত সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার বেচপাতা এলাকার মো. মহিউদ্দিন ওরফে মহির, বগুড়া জেলার ধনুট থানার সোনারগাও এলাকার শাহ আলম, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার আমবাগান কবরস্থান এলাকার রাহুল ও একই এলাকার হাবীব।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) আশুলিয়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির এতথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মো. শাহীনুর কবির জানান, আশুলিয়ায় শহিদুল ও শরীফুল পক্ষের লোকজনের মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে বেশকিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। গত শনিবার শরীফুলের লোকজন শহিদুলের লোকজনকে বেধড়কভাবে মারধর করে। এরপর শহিদুলের লোকজন শরীফুলকে মারার উদ্দেশ্য খুঁজছিলেন।
সন্ধ্যার দিকে শহিদুল পক্ষের মো. মহিউদ্দিন, শাহ আলম, রাহুল ও হাবীব আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় শরীফুল পক্ষের ফয়সালকে পেয়ে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে জখম করেন।
পরে আহত ফয়সালকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে পরে ধামরাই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির বলেন, ফয়সালের বাবা আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর গত সোমবার অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত ১ টি চাপাতি, ২ টি ছোরা ও ৩ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
টিএইচ